
ঘাড়ের ব্যথা হতে পারে বেকায়দা অবস্থায় ঘুমানোর কারনে আবার মেনিনজাইটিসের মত গুরুতর কারনের জন্য। জেনে নিন আপনার ঘাড়ে ব্যথা কেনো হতে পারে।
আমাদের ঘাড়কে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। প্রায় ১০ থেকে ১২ পাউন্ড ওজনের মাথা বহন করা থেকে আরম্ভ করে মাথাকে সর্বদা উপরে, নীচে, ডানে, বামে এবং চারপাশে নাড়ানোর কাজ করে থাকে আমাদের ঘাড়। আমাদের মেরুদণ্ডের অন্যান্য অংশের মত আমাদের ঘাড়ের পর্যাপ্ত পরিমান সুরক্ষা আবরন নেই। এ কারনে, আমাদের ঘাড় ব্যাথা এবং অন্যান্য জটিলতার সম্মুখে যথেষ্ট পরিমাণে ঝুঁকিপূর্ণ।
এটি সৌভাগ্যজনক যে বেশীরভাগ ঘাড়ের ব্যথা আপনা আপনি চলে যায় যদি আমরা আমাদের বসা এবং নড়াচড়ার অভ্যাসের একটু পরিবর্তন নিয়ে আসি। অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাথা নাশক চিকিৎসা, ফিজিওথেরাপী অথবা আরো জটিল চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। আপনার ঘাড়ের ব্যথা খুব বেশী কষ্টদায়ক হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডালাসের বেইলোর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের নিউরোসার্জন রিচার্ড সি নাফটালিস বলেন “আপনার যদি একটানা অথবা ক্রমবর্ধমান ঘাড়ে ব্যাথা থেকে থাকে তবে আপনার উচিত প্রাথমিক সেবা প্রদানকারী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। ব্যাথা যদি আপনার আপনার হাতে ও পায়ে প্রবাহিত হয় অথবা আপনি যদি হাতে অথবা পায়ে দুর্বলতা, অবশতা অথবা জ্বালাপোড়া জাতীয় অনুভুতি হয় তবে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে”।
আপনার ঘাড়ে ব্যথার কিছু সাধারন কারন এবং কিভাবে আপনি ব্যাথা নিরাময় করবেন এ ব্যাপারে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
ডিস্কের ক্ষয়রোগ
বয়স বৃদ্ধির অন্যতম ভোগান্তি এই রোগটিকে স্পন্ডিলসিস বলা হয়ে থাকে। আমাদের মেরুদণ্ডের ডিস্কের কেন্দ্রটি জেলীর মত নরম পদার্থ দিয়ে তৈরি যা কিনা ঘাড়ের হাড়ের মাঝে ধাক্কা শোষণের কাজ করে থাকে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ডিস্কের মধ্যবর্তী স্থানটি ক্ষয় হতে থাকে যার কারনে মেরুদণ্ডের আকৃতি বদলে যায়। ঘাড় ব্যথা ছাড়াও এই রোগের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, মাথা ব্যথা এবং পেশীতে অস্বস্তি। আবার অনেকের কোন উপসর্গ থাকে না।
বয়সের সাথে সাথে এই রোগের ঝুঁকি মধ্যে রয়েছে আঘাত, পারিবারিক ইতিহাস, ধূমপান, হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং ঘন ঘন ঘাড় নাড়ানো।
বিশেষজ্ঞরা অনেকে ফিজিওথেরাপির পাশাপাশি এসিটোমিনোফেন অথবা এনএসএইড জাতীয় ব্যথানাশক জাতীয় ঔষধ যেমন ইবুপ্রোফেন এবং ন্যপ্রোক্সেন চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এছাড়া মাসাজ এবং বরফের থেরাপী সহায়ক হতে পারে এবং জটিল ক্ষেত্রে সারভাইকাল কলার, স্টেরয়েড ইনজেকশন অথবা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
ঘাড়ে টান
আজকের ডিজিটাল বিশ্বে কার ঘাড়ে টান পড়ার সমস্যা হয়নি খুঁজে পাওয়া কঠিন।
এ জাতীয় ঘাড় ব্যথা পেশী এবং মেরুদণ্ড থেকে হয়ে থাকে। ডাঃ নাফটালিস বলেন “আমরা আমাদের মাথা দীর্ঘসময় একটি অবস্থানে রাখার কারণে (যেমনঃ কম্পিউটারের দিকে সারাদিন তাকিয়ে থাকার কারনে) পেশীর ক্ষতি হয়ে থাকে। এছাড়া ভারী ব্যগপ্যক বহন করা, ঘাড় ও কানের মধ্যে নিয়ে ফোনে কথা বলা অথবা বাচ্চাকে কোলে নেয়ার কারনে আমাদের দেহভঙ্গির ব্যঘাত ঘটতে পারে এবং আমাদের এক অবস্থানে বেশ কিছু সময় থাকতে হতে পারে।
আমেরিকান ফিজিকাল থেরাপী এসোসিয়েশনের মুখপাত্র কারেন লিটজি বলেন “কোন অবস্থানে আমাদের ঘাড় থাকছে সেটার চেয়ে কতটুকু সময় এক অবস্থানে ঘাড় থাকছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে মনে করেন ঘাড় সোজা করে বসে থাকাটা উপকারি তবে এর মানে এই নয় যে আপনার ঘাড়ে ব্যথা হবে না”।
এছাড়া, বেকায়দা অবস্থায় ঘুমালেও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। আমেরিকান একাডেমী অফ অর্থপেডিক সার্জনের মুখপাত্র চারলা ফিসার বলেন “আপনি যদি কাউচে, বিমানে অথবা গাড়িতে ঘুমান সে ক্ষেত্রে কিভাবে ঘুমাচ্ছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ”।
তবে, ঘাড়ে টান পড়া এড়ানো সম্ভব যদি আমরা আমাদের ঘাড় ঘনঘন নাড়াচাড়া করি। লিটজি বলেন তিনি তার রোগীদের নড়াচড়া করতে বলে থাকেন এবং আপনার পরিবর্তিত অবস্থান আপনার জন্য সবচেয়ে উত্তম বটে।
এছাড়া, ব্যয়াম, পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনি উপকার পেতে পারেন। সেই সাথে ব্যথানাশক ঔষধ, মাসাজ, গরম শেক এবং বরফ দিয়ে মাসাজ উপকার করতে পারে।
ঘাড়ে আঘাত
ঘাড়ে আঘাতের কারনেও আপনার ব্যথা হতে পারে। গাড়ি দুর্ঘটনা অথবা খেলাধূলায় ঘটা দুর্ঘটনার কারনে সৃষ্ট ঘাড়ের এক ধরনের আঘাতকে বলা হয় হুইপলাস।
লিটজি বলেন “ যে কোন ধরনের হুইপলাসজনিত আঘাতের কারনে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। আপনি যদি খুব বেশি গতিতে চলে থাকেন আপনার ঘাড়ে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।“
গাড়ি চালালে অথবা গাড়িতে চলাকালে সিট বেল্ট পরিধান করে আপনি নিজেকে সুরক্ষিত করতে পারেন। খেলার সময় অবশ্যই সুরক্ষাপ্রদানকারী সামগ্রী পরিধান করুন। শারীরিকভাবে ফিট থাকাটাও আপনার জন্য কল্যাণকর হতে পারে কেনোনা সুঠাম দেহ ঘাড়ের ব্যাথা প্রতিরোধে কার্যকর।
হারনিয়েটেড ডিস্ক
নিউইয়র্কের এনওয়াইইউ ল্যনগোন অর্থপেডিক হাসপাতালের মেরুদণ্ডের সার্জন ডাঃ ফিসার বলেন আমাদের মেরুদণ্ডের ধাক্কা শোষণকারী ডিস্কের অভ্যন্তরের জেলী জাতীয় পদার্থ যখন ফেপে উঠে অথবা ফেটে যায় তখন এ অবস্থাকে হারনিয়েটেড ডিস্ক বলা হয়। এ অবস্থায় নিকটবর্তী স্নায়ু প্রভাবিত হয় এবং ঘাড়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। বয়স বৃদ্ধি অথবা কোন আঘাতের কারনে হারনিয়েটেড ডিস্ক হতে পারে।
ডাঃ ফিসার বলেন হারনিয়েটেড ডিস্কের কারনে ঘাড় ব্যথা ছাড়াও হাতে ব্যথা হতে পারে। লিটজি বলেন কোন অবস্থাতেই আপনাকে ঘাবড়ানো যাবে না। এই রোগের জটিল আকার ধারন করাটা অনেকটাই বিরল। এই রোগ সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি জানা প্রয়োজন তা হলো এটি নিরাময়যোগ্য।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় হাঁটা এবং আপনার শরীরের উপরিভাগ কে নড়াচড়া করানো সবচেয়ে উত্তম। তবে, ব্যথা না সারলে আপনার চিকিৎসক ফিজিওথেরাপী অথবা ব্যথানাশক ঔষধের ব্যবস্থাপনা করতে পারেন। এই সমস্যায় অস্ত্রোপচারের ঘটনা খুবই বিরল।
দুশ্চিন্তাজনিত মাথা ব্যথা
দুশ্চিন্তাজনিত মাথা ব্যথাকে ঘাড় ব্যথার কারন বলা যায় না যতটা এ জাতীয় মাথা ব্যথা ঘাড় ব্যথার কারনে হতে পারে। তবে, বলা মুশকিল কোনটি আগে হয়ে থাকে। ডাঃ নাফটালিস বলেন “মাথা ব্যথার কারনে পেশী উত্তেজিত হওয়ায় আপনার পেশীতে অস্বস্তির সৃষ্টি হতে পারে”।
বেশীরভাগ দুশ্চিন্তাজনিত মাথা ব্যথা আমাদের খুলিতে অবস্থিত সুবোসসিপিটাল পেশীতে টান পড়ায় হয়ে থাকে। তবে, প্রাথমিকভাবে কর্মক্ষেত্রে সৃষ্ট হতাশা, চোখের চাপ, দাঁতে দাঁত ঘষা অথবা কোন আঘাতের কারনে এই পেশীতে টান পড়তে পারে।
নিশ্চিত করুন আপনার কম্পিউটার মনিটরের উপরিভাগের অর্ধেক ও আপনার চোখ যেনো সমান্তরাল অবস্থানে থাকে এবং আপনাকে সারাদিন ঝুঁকে কাজ করতে না হয় অথবা এক নাগারে মনিটরে তাকিয়ে থাকতে না হয়। নিশ্চিত করুন আপনার কী বোর্ড অথবা মাউসের নাগাল পেতে যেনো আপনাকে কষ্ট করতে না হয়। সেই সাথে প্রতি ৪৫ মিনিট পরপর আপনাকে চেয়ার থেকে উঠে বসতে হবে এবং একটু হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
টিএমজির সমস্যা
টিএমজি বলতে আমাদের টেম্পোরোম্যন্ডিবুলার সন্ধিকে বোঝায় যেটির মাধ্যমে আমরা আমাদের চোয়াল বন্ধ করতে পারি এবং খুলতে পারি।
টিএমজি ক্ষতিগ্রস্থ হলে আমাদের ঘাড়ের ব্যথার পাশাপাশি মাথা ব্যথা, কানে ব্যথা, মুখ খুলতে সমস্যা এবং চোয়াল নাড়ালে আওয়াজ হতে পারে। কোন ধরনের আঘাত, অত্যাধিক দাঁতে দাঁত ঘষা, চুইং গাম চিবানো, চাপ অথবা আরথারাইটিসের কারনে এই ব্যধি হতে পারে।
পরিত্রানের কিছু সহজ উপায়ঃ চুইং গাম চিবাবেন না, নরম খাবার খান এবং দিনে অন্তত দুবার আধ ঘণ্টা আপনার চোয়ালে তাপ প্রয়োগ করুন। ডাঃ ফিসার বলেন পাশাপাশি এটিও নিশ্চিত করুন যে ব্যথা অন্য কোন কারনে হচ্ছে কিনা। টিএমজি ব্যধিতে ভোগা অনেকই অন্যান্য সমস্যায় ভুগতে পারেন যেমনঃ ফাইব্রোমাইআলজিয়া।
স্নায়ুতে চাপ পড়া
মেরুদণ্ডের ডিস্কের অভ্যন্তরের জেলী জাতীয় পদার্থ যখন বের হয়ে আসে তখন দু দিকের মেরুদণ্ডের হাড় কাছাকাছি চলে আসে এবং হাড় বৃদ্ধি পেতে পারে। এ জাতীয় হাড়ের বৃদ্ধির কারনে স্নায়ুতে চাপ পড়তে পারে যার ফলে ব্যথা এবং কখনো কখনো অবশতার সৃষ্টি হয়। সাধারণত এক্ষেত্রে ঘাড়ে ব্যথা আরম্ভ হয় এবং হাতে ছড়িয়ে পড়ে। চাপে পড়া স্নায়ু থেকে হওয়া ব্যথার পাশাপাশি সুইয়ের খোঁচা জাতীয় অনুভুতি এবং দুর্বলতার সৃষ্টি হতে পারে।
বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে স্নায়ুতে চাপ পড়া একটি সাধারন বিষয়। তবে, অল্প বয়স্কদের মধ্যে কোন আঘাতের কারনে এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তবে, হারনিয়েটেড ডিস্কের মত এই রোগ তেমন জটিল নয়। ঔষধ সেবনে এবং ফিজিওথেরাপী গ্রহন করলে এই রোগের উপশম নিরাময় হয়।
স্নায়ুতে চাপ পড়ার সমস্যা নিজ থেকেই ভালো হয়ে যায় তবে যদি এটি সেরে না যায় তবে সারভাইকাল কলারের ব্যবহার, ফিজিওথেরাপী, ঔষধ সেবন (স্টেরয়েড জাতীয় সহ) অথবা জটিল ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
অস্টিওআরথারাইটিস
অস্টিওআরথারাইটিস অর্থাৎ বয়সজনিত ক্ষয়ের কারনে আপনার হাড়ের শেষ প্রান্তে, হাঁটুতে ও নিতম্বেই শুধু কারটিলেজের ক্ষয় হতে পারে না বরং আপনার ঘাড়ও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ডাঃ ফিসার বলেন বয়স্কদের মধ্যে এই রোগ ঘাড় ব্যাথার অন্যতম কারন।
অনেকেরই ঘাড়ে এই রোগটি হলে কোন উপসর্গ থাকে না তবে, কারো কারো ঘাড়ে ব্যাথা হয়ে থাকে। আবার অনেকে অবশতা, পেশীর দুর্বলতা, মাথা ব্যাথা এবং ভারসম্য হারিয়ে ফেলতে পারেন।
অস্টিওআরথারাইটিসের ব্যাথা উপসমে ব্যয়াম করতে পারেন (যদিও অনেক ক্ষেত্রে ব্যয়াম উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে)। ব্যয়ামের মাধ্যমে আপনার নড়াচড়ার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। অনেকে ফিজিওথেরাপী এবং এনএসএইড গ্রহন করে উপকৃত হয়ে থাকেন।
বাতজ্বর
বাতজ্বর অসটিয়োআরথ্রাইটিস হতে ভিন্ন। এই রোগটির বয়সের সাথে সম্পর্ক না থাকলেও আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কোন অস্বাভাবিকতার কারনে আপনার সন্ধিগুলো আক্রান্ত হয়ে থাকে। বাতজ্বরের কারনে শুধু আপনার ঘাড়ে নয় বরং শরীরের অন্যান্য সন্ধিতেও ব্যাথা হতে পারে। সাধারনত সকালে অথবা আপনি বিশ্রাম নেওয়ার পর ব্যথা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
চিকিৎসা না করানো হলে বাতজ্বর থেকে সৃষ্ট প্রদাহ আপনার সন্ধির চিরস্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। এ ধরনের ক্ষয়রোগের উপশমে ব্যায়াম সাহায্য করে থাকে। আপনার সন্ধির ক্ষতি এড়াতে আজকাল নতুন বাত বিরোধী ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে।
মেনিনজাইটিস
ঘাড়ের জড়তা (যা কিনা ঘাড় ব্যাথার চেয়েও কষ্টদায়ক) মেনিনজাইটিসের অন্যতম লক্ষন। আমাদের মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডকে ঘিরে রাখা আবরনে এক ধরনের প্রদাহ হচ্ছে এই মেনিনজাইটিস। মূলত ভাইরাস এই রোগটির কারন হলেও কখনো কখনো ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের মাধ্যমেও এটি হয়ে থাকে। সৌভাগ্যক্রমে মেনিনজাইটিস একটি বিরল রোগ হলেও এই উপসর্গের মধ্যে রয়েছেঃ তীব্র মাথা ব্যাথা, বমি ভাব, জ্বর, বিভ্রান্তি, আলো সহ্য করতে না পারা এবং খিচুনি। এ রোগের তীব্র কোন এক বা একাধিক উপসর্গ হলে আপনাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যেতে হতে পারে অথবা ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
ফাইব্রোমায়ালজিয়া
ফাইব্রোমায়ালজিয়া একটি ব্যাথাজনিত রোগ যা আপনার ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন অংশকে আক্রান্ত করতে পারে। ব্যাথা এই রোগের অন্যতম উপসর্গ হলেও একমাত্র নয়। এই রোগের উপসর্গের মধ্যে রয়েছেঃ অতিরিক্ত দুর্বলতা, মানসিকভাবে বিভ্রান্ত হওয়া, এলোমেলো ভাব, মাথা ব্যাথা, দুশ্চিন্তা এবং হতাশা।
ফাইব্রোমায়ালজিয়ার কারন জানা না গেলেও আপনার মস্তিষ্ক কিভাবে ব্যাথার সংকেত প্রক্রিয়া করে সেটার সাথে এই রোগের সম্পর্ক থাকতেও পারে। এই রোগের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা না থাকলেও স্নায়ু সংক্রান্ত কিছু ঔষধ যেমনঃ ডুলোক্সেটিন এবং প্রেগাবালিনের ব্যবহারে অনেকে উপকার পেয়ে থাকেন। এই রোগের রোগীরা ব্যায়ামের মাধ্যমে ভালো বোধ করে থাকেন। এছাড়া ফিজিওথেরাপী, আকুপাংচার, মাসাজ এবং আচরনের উপর থেরাপী কখনো কখনো উপকারে আসে।