
তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় গোসলের প্রতি আমাদের আলসেমি আসাটাই স্বাভাবিক। তবে, যারা প্রতিদিন গোসল করছেন, তাঁরা সম্ভবত কিছু ভুল করছেন!
প্রথমত, প্রতিদিন গোসল না করলে কোন সমস্যা নেই। অনেকের কাছেই বিষয়টি ভালো নাও লাগতে পারে কিন্তু শীতকালে আপনার শরীর আবৃত থাকায় খুব বেশী ঘামে না এবং নোংরা হয় না। অতিরিক্ত কাপড়ে আবৃত থাকায় এই ঋতুতে দূষকগুলো আপনার ত্বকের কম ক্ষতি করে। সুতরাং, একদিন পর পর গোসল করা যেতে পারে। তবে, দুই দিনের অধিক গোসল না করা ঠিক হবে না যদি আপনি গায়ের দুর্গন্ধ এড়াতে চান।
সুতরাং, এই শীতে যারা গোসল করার দুঃসাহস করছেন তাদের অবশ্যই কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।
গোসল আরম্ভের পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখুনঃ
পানির তাপমাত্রা– শীতকালে গরম পানি দিয়ে মন ভুলানো একটি গোসল আমরা সবাই পছন্দ করি। পানি যতটাই গরম হয় আমাদের মন ততটাই খুশিতে ভরে যায়। তবে, পানির তাপমাত্রার ব্যপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের উষ্ণ পানি দিয়ে গোসল করা উচিত, গরম পানি দিয়ে নয়। কারন, গরম পানি আমাদের ত্বকের আদ্রতা কেড়ে নিয়ে ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে।
সাবান/বডি ওয়াশ– উপাদানসমূহ ভালো করে পড়ে নিয়ে সাবান অথবা বডি ওয়াশ কিনুন। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান/বডি ওয়াশ কিনুন তবে লক্ষ্য রাখবেন এতে যেনো এলকোহল না থাকে কেনোনা এলকোহল আপনার ত্বককে আরো শুষ্ক করে দিবে। ডিপ ময়েশ্চারাইজিং সমৃদ্ধ সাবান/বডি ওয়াশ কেনা উচিত,বিশেষ করে শীতকালের জন্য।
তেলের প্রভাব– এ প্রজন্মের অনেকেই গোসলের পূর্বে শরীরে সরিষার তেল অথবা নারিকেল তেল ব্যাবহার পছন্দ করে না। তবে, আপনি এভাবে তেল না দিতে চাইলে গোসলের শেষের দিকে পানিতে কয়েক ফোটা অলিভ অয়েল দিয়ে নিন। এতে করে আপনার ত্বক হারানো আদ্রতা ফিরে পাবে।
তোয়ালে দিয়ে/বাতাস দিয়ে শুকান– একটি শুকনা তোয়ালে দিয়ে ত্বকে আস্তে করে চাপ দিন তবে ঘষবেন না কারন গোসলের পর আপনার ত্বক সংবেদনশীল থাকে। অনেকেই গোসলের পর বাথরুম থেকে ব্লোয়ারের সামনে দাড়িয়ে পড়েন তাদের ত্বক শুকাতে। তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের কারনে এর মাধ্যমে ত্বক এবং শরীরের ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং, স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখুন এবং আপনার ত্বক তোয়ালে দিয়ে শুষ্ক করুন।
আদ্রতা ধরে রাখুন– আমাদের উচিত শীতকালে গোসলের পরপরই ডিপ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বক সতেজ হবে এবং আদ্রতা বজায় থাকবে।