
ইলেইন কে হাউলি, লিসা এসপোসিটো
অনেকের মত আপনিও হয়তো দিনের কিছুটা সময় কি খাবেন তা ভেবে কাটিয়ে দেন। আর বিষয়টা অনেকটাই কঠিন হয়ে যায় যদি আপনি পেটের আলসারের মত হজমজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন ।
ওহিও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ এবং গ্যাসট্রএনট্রেনোলজি ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ অলিভিয়া ভন বলেন “পেটের আলসার বলতে পাকস্থলীর আবরনে সৃষ্ট ছিদ্রকে বোঝায় যার কারনে পেটে ব্যাথা অথবা পেটের পীড়া হয়ে থাকে এবং এ থেকে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও হতে পারে”।
আপনার খাদ্যাভ্যাস পেটের আলসারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সঠিক খাদ্য গ্রহন করলে আলসারের উপসর্গগুলো কমে আসবে এমনকি রোগটি সেরেও যেতে পারে।
ক্যালিফরনিয়ার অরেঞ্জে অবস্থিত সেন্ট জোসেফ হাসপাতালের গ্যাসট্রএনট্রেনোলজিস্ট এবং ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আলা আবুসাইফ বলেন “যেহেতো আলসার আপনার পাকস্থলীতে ছিদ্র সৃষ্টি করে তাই আপনার সেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে যা কিনা আপনার পাকস্থলীকে উত্তেজিত করতে পারে”।
কী কারনে আলসার হয়ে থাকে?
ক্যালিফরনিয়ার স্যান্টা ক্লারা ভ্যলী মেডিকেল সেন্টারের গ্যাসট্রএনট্রেনোলজিস্ট ডাঃ রবার্ট লেরিগো বলেন “ পেটের আলসারের নানাবিধ কারন রয়েছে”।
সবচেয়ে প্রচলিত কারনগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
- হেলিকোব্যাকটার পাইলোরির কারনে প্রদাহঃ লেগিরো বলেন “এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীতে সরাসরি প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এবং এসিডের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে”। বিগত কয়েক দশকের গবেষণা থেকে জানা যায় যে প্রায় ৮০% থেকে ৯০% পর্যন্ত পাকস্থলীর প্রদাহের কারন এই ব্যাকটেরিয়া।
- এনএসএইডঃ লেগিরো বলেন “স্টেরয়েড নয় এমন এবং বিভিন্ন ব্যাথানাশক ঔষধ যেমনঃ এসপিরিন, ইবুপ্রোফেন এবং নেপ্রোক্সেনের ঘন ঘন এবং মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পাকস্থলীর শ্লৈষ্মিক আবরন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তা পাকস্থলী থেকে নির্গত এসিডের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।
- টিউমার এবং অন্যান্য রোগঃ আলসারের অন্যান্য কারনগুলোর মধ্যে রয়েছে টিউমার যার কারনে পাকস্থলীতে এসিডের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং এ থেকে পাকস্থলীর ক্যান্সারও হতে পারে। লেগিরো বলেন “ টিউমার পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টির মাধ্যমে আলসার সৃষ্টি করতে পারে”।
আপনার পাকস্থলীর আলসারের কারন যেটাই হউক না কেনো ব্যাথা এবং অস্বস্তি কমানোর উপর গুরুত্ব আরোপ না করে আপনার উচিত সুস্থ থাকার জন্য কিভাবে আলসারটি সারানো যায় তার উপর গুরুত্ব দেয়া। যথাযথ চিকিৎসা না করালে পাকস্থলীর আলসার জটিল আকার ধারন করতে পারে যার মধ্যে রয়েছেঃ
- রক্তক্ষরন- রক্তনালী ছিঁড়ে যাওয়ার কারনে পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এর ফলে পায়খানার সাথে রক্ত যেতে পারে অথবা কালচে রঙ ধারন করতে পারে।
- ব্লক- ব্লক অথবা বাধার কারনে খাবার হজমতন্ত্র দিয়ে ঠিকমত চলাচল করতে পারে না।
- ছিদ্র- আলসারের কারনে পাকস্থলীর দেয়ালে ছিদ্র হতে পারে। এ অবস্থায় হজমকারী জুস এবং খাবার আমাদের পেটগহবরে চলে আসতে পারে। এর কারনে জীবনহানিকর প্রদাহের সৃষ্টি হতে পারে।
- পেরিটোনাইটিস- আমাদের পেট গহবরের এই প্রদাহটি মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ডায়াবেটিস এন্ড ডাইজেসটিভ এন্ড কিডনী ডিজিজেস এর ভাষ্যমতে এ জাতীয় জটিলতা নিরসনে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
পাকস্থলীর আলসারের চিকিৎসায় ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে উপসর্গ কমানোর জন্য এবং দ্রুত সারানোর জন্য। যেমনঃ আপনার যদি এইচ পাইলোরির জন্য আলসার হয়ে থাকে তবে আপনাকে সম্ভবত এন্টিবায়োটিক দেয়া হবে প্রদাহ সারানোর জন্য। আবার অনেককে এমন ঔষধ দেয়া হয়ে থাকে যার মাধ্যমে পাকস্থলীতে এসিডের নির্গমন কমানো হয় যাতে করে নতুন করে আলসারের সৃষ্টি না হয় অথবা আগে থেকেই হয়ে থাকা আলসারের অবনতি না হয়।
এছাড়া, পাকস্থলীর রোগীদের এনএসএইড জাতীয় ঔষধ গ্রহন করতে নিষেধ করা হয় যদি এমন মনে করা হয় যে আলসারের জন্য এই ঔষধগুলোই দায়ী।
একই সাথে আপনার চিকিৎসক আপনার খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করতে পারেন। তবে, আপনার ঠিক কি খাওয়া উচিত তা নির্ভর করছে কি জাতীয় খাদ্য গ্রহন করলে আপনার উপসর্গ বৃদ্ধি পায় তার উপর। লেরিগো বলেন “ আমেরিকান গ্যাসট্রএনট্রেনোলজিকাল এসোসিয়েশন অথবা আমেরিকান কলেজ অফ গ্যাসট্রএনট্রেনোলজি পাকস্থলীর আলসারের উপশমের জন্য কোন বিশেষ ধরনের খাবার সুপারিশ করে না। তবে, আন্তর্জাতিক কিছু গবেষণা কিছু ধরনের খাবার গ্রহণকে উৎসাহিত করলেও মানবদেহে ব্যাপক পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া সে সকল খাবার সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না”।
যেসব খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে
যারা পাকস্থলীর আলসারে ভুগছেন তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারকে সর্বোত্তম মনে করা হলেও কিছু খাবারের তালিকা আছে যেসব আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। ভন বলেন “যদিও কিছু খাদ্য ও পানীয়র মাধ্যমে আপনার পেট খারাপ হতে পারে অথবা পাকস্থলীর এসিডের নির্গমন বৃদ্ধি পেতে পারে তবে এমন কোন প্রমান নেই যে সে সকল খাবার ও পানীয় আলসারের জন্য ক্ষতিকর। তারপরও, এই খাবারগুলো পাকস্থলীতে এসিডের নির্গমন বৃদ্ধির মাধ্যমে পাকস্থলীতে অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে অথবা পাকস্থলীর দেয়ালের ক্ষতি করতে পারে”।
সুতরাং, পাকস্থলীর আলসারে ভুগছেন এমন অনেকেরই এসব খাবার গ্রহন করে অবস্থার অবনতি হতে পারে তাই তারা এসব খাবার এড়িয়ে চলেন। যে সকল খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত তার মধ্যে রয়েছেঃ
- মদ।
- গোল মরিচ এবং বিভিন্ন মরিচ।
- ক্যাফেইনেটেড সোডা সমৃদ্ধ ক্যাফেইন।
- ট্যান্নিন্স সমৃদ্ধ ব্ল্যাক এবং গ্রীন চা কেননা এটি পাকস্থলীর এসিড নির্গমন বৃদ্ধি করে।
- কফি (যেমনঃ ডিক্যাফ)।
- ধনিয়া পাতা।
- পুদিনা পাতা।
- চকোলেট।
- টমেটো।
আবুসাইফ আরো বলেন কারো কারো মসলাদার খাবার, টক জাতীয় খাবার ও কোমল পানীয়তে সমস্যা হয়ে থাকে।
তবে পাকস্থলীর আলসারে ভুগছেন এমন সবার এসব খাবারে সমস্যা হয় না। ভন বলেন “এটি নির্ভর করে ব্যাক্তিটির উপর তাই খাবারগুলো অল্প পরিমানে খেয়ে দেখতে হবে এবং যদি সমস্যা হয় তবে তা না খাওয়াই শ্রেয়”।
আপনি যদি আপনার জন্য ক্ষতিকারক খাবারগুলো চিনহিত করতে পারেন তবে আপনি একটি সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পারবেন। ভন বলেন “আপনি যখন জেনে যাবেন আপনার জন্য কোন খাবারগুলো ক্ষতিকারক তারপর আপনি সুষম খাদ্য গ্রহন করবেন এবং অল্প পরিমাণে ঘন ঘন খাবেন”।
আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রতিদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হবে। কারন কিছু খাবার বর্জন করলে আপনি পুষ্টিহানীর শিকার হতে পারেন যদি না আপনি অন্য কোন খাবার দিয়ে সেসব পুষ্টির যোগান না দেন। ভন বলেন “প্রতিবার খাবার সময় আপনাকে এমন একটি খাবার রাখতে হবে যেটিতে প্রোটিন আছে।“
আবুসাইফ বলেন আপনার উচিত লেগুম জাতীয় খাবার (যেমনঃবিন, ডাল) এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি (যেমনঃ এভোক্যডো, অলিভ অয়েল) আপনার খাদ্য তালিকায় রাখা কারন এগুলোতে প্রচুর পুষ্টি আছে। তবে, আপনাকে অবশ্যই প্রচুর পানি পান করতে হবে। আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমান পানি থাকলে তা সাস্থোর জন্য যথেষ্ট উপকারি এবং আপনার হজমতন্ত্রের জন্যও সহায়ক।
আলসার হলে কী খাবেনঃ
লেরিগো বলেন “আপনার শরীরকে কোন ক্ষত সারাতে হলে আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ও ফল, সবজি ও আঁশ সমৃদ্ধ বৈচিত্র্যময় খাবার গ্রহন করতে হবে এবং সেসব খাবার অবশ্যই কৃত্রিম প্রিজারভেটিভ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। এছাড়া, আপনাকে ধূমপান ও মদপান পরিত্যাগ করতে হবে কেনোনা এসব পাকস্থলীর আলসারের অন্যতম কারন।“
ইরানে পরিচালিত একটি জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন “আঁশযুক্ত পলিফেনলে আছে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা হজমতন্ত্রের জন্য উপকারি।“ পলিফেনল একটি উপাদান যা ফল ও সবজিতে পাওয়া যায় এবং এটি হজমে সহায়তা করে, মস্তিষ্কের জন্য উপকারি এবং আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্নভাবে উপকারে আসে।
লেগিরো বিশেষভাবে কিছু খাবারের কথা বলেন যা পাকস্থলীর কয়েক ধরনের আলসার প্রতিরোধে এবং চিকিৎসায় সহায়তা করে থাকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
-আপেল
-আঙ্গুর
-ডালিম
-গ্রীন টি
-সবজি
-কারকিউমিন (এই উপাদানটি কাঁচা হলুদে পাওয়া যায়)
-বিটেল ভাইনের পাতা (এটি দক্ষিন এশিয়ায় পাওয়া যায় এবং এতে আছে মরিচ ও কাভা)
ভন একটি প্রচুর ফল, সবজি এবং আঁশ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহনের উপর গুরুত্বআরোপ করেন কেনোনা এতে করে আলসারের ঝুঁকি কম হতে পারে। তিনি বলেন বেশী করে ফল, সবজি, আঁশ ও ভিটামিন এ গ্রহন করলে আলসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। ভন বলেন “এটি সম্ভবত এই খাবারগুলোর সুরক্ষা প্রদানের বৈশিষ্টের সাথে সম্পৃক্ত।“ ফল ও সবজিতে রয়েছে প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট যা প্রদাহের ঝুঁকি কমায় এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী।
ভন বলেন বিভিন্ন অপরিশোধিত ফল, সবজি ও গমে রয়েছে প্রচুর আঁশ যা কিনা পাকস্থলীর এসিডকে শোষণ করতে পারে। অনেকেই মনে করেন স্বাদহীন খাবার গ্রহন করতে হবে আলসার আক্রান্ত হলে কিন্তু এরকম কোন প্রমান পাওয়া যায় নি যে পেটের আলসার প্রতিরোধে এ জাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে।
বিজ্ঞান এখনো আমাদের পেটে অবস্থানকারী জীবাণুর সাথে আমাদের স্বাস্থ্যের কোন সম্পর্ক খুঁজে পায়নি। ভন বলেন “কিছু গবেষণায় দেখা যায় যে যেসব খাবার প্রোবায়োটিক অথবা প্রোবায়োটিক রয়েছে সেগুলো উপকারে আসতে পারে। তবে, বৈজ্ঞানিকভাবে এসব খাবার শুধুমাত্র এইচ পাইলোরির চিকিৎসায় কার্যকর বলে প্রমান পাওয়া গিয়েছে।“ মনে করা হয় যে, প্রোবায়োটিক আমাদের পেটের সুরক্ষা আবরণে অবস্থিত জীবাণুর বিস্তারে সহায়ক এবং এ কারনে এইচ পাইলোরের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এমন এন্টিবায়োটিকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমাতে সহায়ক হতে পারে।
ভন বলেন প্রোবায়োটিক আমাদের পেটের অভ্যন্তরে এইচ পাইলোরির ক্ষতিকারক প্রভাব অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে থাকতে পারে। কিছু চলমান গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে লেগিরো বলেন বিভিন্ন গাঁজানো খাবার যেমনঃ আঙ্গুর, দই, আঁচার, কিমচি এইচ পাইলোরির সক্রিয়তা কমাতে পারে।
আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন
আপনি যদি মনে করেন আপনি পাকস্থলীর আলসারে আক্রান্ত হতে পারেন তবে আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলা জরুরী। বেশীরভাগ রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসককে দিয়ে চিকিৎসা আরম্ভ করেন তবে আপনাকে বিশেষায়িত সেবার জন্য একজন গ্যাসট্রোএনট্রেনোলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে।
আবুসাইফ বলেন যদি বিশেষ করে খাবার পর আপনি পেটের উপরিভাগে ব্যাথা অনুভব করে থাকেন তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এছাড়া নিম্নের কোন উপসর্গ থাকলেও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবেঃ
-বমি বমি ভাব
-বমি
-পেট ফুলে যাওয়া
-দ্রুত পেট ভরে যাওয়া
-ক্ষুধামন্দা
আবুসাইফ মনে করেন এসকল উপসর্গ পাকস্থলীর আলসারের লক্ষন হতে পারে। সেই সাথে আপনার পায়খানার সাথে রক্ত গেলে অথবা পায়খানা কালচে রঙ ধারন করলে আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে কেনোনা এগুলো পাকস্থলীর আলসারের লক্ষন।
লেরিগো বলেন এসব ক্ষেত্রে খাবারের মাধমে নিজে চেষ্টা না করে আপনার চিকিৎসা নেয়াটা জরুরী। তিনি বলেন “পাকস্থলীর আলসার থেকে থাকলে নতুন খাবার নিয়ে পরীক্ষা করাটা সবসময় মঙ্গলজনক না ও হতে পারে। পাকস্থলীর আলসার অনেক কারনে হতে পারে তাই কারনটি নির্ধারণ করে নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রদান করাটা জরুরী।“
লেরিগো বলেন “চিকিৎসক আপনাকে এন্টিবায়োটিক অথবা পাকস্থলীর এসিড নির্গমন কমানোর ঔষধ দিলে কারকিউমিনের ঘাটতি পূরণ হবে না। যদিও কিছু গবেষণায় জানা যায় যে কিছু খাবার এবং প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর আলসার সারাতে সহায়ক কিন্তু এসব এখনো চূড়ান্ত নয়। পাকস্থলীর আলসারের কারন খুঁজে বের করা এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসার কোন বিকল্প নেই এবং এই খাবারগুলো চিকিৎসার পরিপূরক হিসেবে দেখা উচিত অবশ্যই বিকল্প হিসেবে নয়”।